আমার জ্ঞান ফেরার পর তখন আমার পাশেকেউ ছিলো না। তাই আমাকে হাসপাতালেকে নিয়ে এসেছিলো তা আমি সঠিকভাবে জানিনা। তবে একটা নার্সকে জিজ্ঞাসা করে দেখেছিলাম ‘আর সে বলছিলো যে আমাকে হাসপাতালে নাকি একটা ছেলে নিয়ে এসেছিলো। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে যে সেদিন নাকি আমাকে যে ছেলেটা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলো তখন নাকি ছেলেটার অবস্থা কেদে কেদে অনেক খারাপ হয়ে গেছিলো। আমাকে নিয়ে নাকী ছেলেটা প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেছিলো। তাই নার্স তো ভেবে নিয়েছিলো যে ছেলেটা মনে হয় আমার স্বামী অথবা বয়ফ্রেন্ড। যখন আমি তাকে বললাম যে আমি ছেলেটাকে ঠিক মতো চিনি নাহ “তখন নার্সটা অনেক অবাক হয়ে যায়। কিন্তু কেনো সেটা তো বলো!
আমি চট করে উনার দিকে তাকিয়েই চোখ নামিয়ে নিলাম। আমার শরীরের ভিতর দিয়ে হাজার ভোল্টের কারেন্ট পাস করে চলে গেল। উনি দূরে একটা নারকেল গাছে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে একদৃষ্টে আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন।
জানিস তো মা ‘এই ছেলেটার মতো ছেলে হয়না। লাখে রক্তিমের মতো কোনো একটা ছেলে পাওয়া যায়। (দিশার আম্মু)
“আছে তো নিশ্চই আছে। তাই তো এত কিছু হবার পরেও আমি তোমাকেই চাই ‘গোবু’।
স্কুলজীবন শুরু হয় উত্তেজনা নিওয়ে কিন্তু শেষ হয় একরাশ দুঃখ নিয়ে।
অসম্পূর্ণ ভালোবাসার গল্পঃ- ‘প্রেমিক’
সকালে খাওয়ার সময় আমার ভাই ইফতি বলল, “তোমরা জানো ? কালকে আমাদের স্কুলের মাঠে বিবাহিত এবং অবিবাহিতদের ভিতর ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।”বিবাহিতদের ক্যাপ্টেন হচ্ছে বড় মামা আর অবিবাহিতদের ক্যাপ্টেন হচ্ছে মুরাদ ভাই। এবং খেলার পরে বিশাল খাবার-দাবারের আয়োজন করা হয়েছে। সেই উপলক্ষে কয়েকটা খাসি কেনা হয়েছে।”
আমি বললাম ,”খালা শিউলি ঠিকই বলেছে তুমি দেখে নিও স্বভাব কখনো বদলায় না। এসেই দেখবে সবাইকে বিরক্ত করা শুরু করে দিবে , কাউকে আর শান্তিতে থাকতে দেবেনা ।এই দুটো দিন তো শান্তিতে ছিলাম।”
ফরিয়াদ কবিতা
আরে নাহ, আন্টি তেমন কোনো ব্যাপার না। আসলে আমার একটু জরুরী কাজ পরে গেছে তো তাই ‘তাড়াহুড়ার মধ্য দিয়ে যেতে গিয়ে হঠাৎ চক্ষে একটা পোকা পড়ে যায়। আর তার জন্যই চক্ষু দিয়ে হালকা পানি পরছে। ওসব কোনো ব্যাপার না। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। আচ্ছা আন্টি আমি এখন চলি আমার একটু তারাআছে।
”শিউলি উত্তর করলো,”সে রসমালাই খায়”। মুরাদ ভাই “ও আচ্ছা “বলে চলে গেল।
গাছ সম্পর্কে কবিতা
রক্তিমের গা থেকে শার্ট উঠানোর সাথে সাথে দিশা দেখে রক্তিমের যে জায়গা গুলোতে অপারেশন করানো হয়েছিলো সেই জায়গা গুলো দিয়ে রক্ত ব্যর্থ প্রেমের গল্প গরিয়ে পরে পরে পু্রো শার্টটা রক্তে লাল হয়ে গেছে। এদিকে রক্তিমকে আর কোনো কথা না বলতে দেখে দিশা সাথে সাথে সেখানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কারণ ওর আর বুঝতে বাকী নেই যে রক্তিম ওকে চিরদিনের জন্য এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেছে। সে বুঝে গেছে আরকেউ ওর পিছনে পিছনে ঘুর ঘুর করবে না। আর কাউকে অপমান করতে পারবে না।
স্কুল জীবন শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস, যা তাদের লক্ষ্যের দিকে তাগিদ দেয়।
Comments on “The Ultimate Guide To ব্যর্থ ভালোবাসার কষ্টের গল্প”